Tuesday, August 19, 2014

অদম্য মা, মেধাবী ছেলে

তৌহিদী হাসান, কুষ্টিয়া | আপডেট: প্রিন্ট সংস্করণ
ছেলের জন্য মায়ের নির্ঘুম রাত কাটানোর খবর এটি নয়। ছেলের জন্য রাত জেগে অপেক্ষায় থাকা কোনো মায়ের গল্পও নয়। এই মা রাত জাগেন ছেলের পড়া তৈরি করে দিতে। তবে তা অন্য মায়েদের মতো নয়। তিনি প্রতি রাতে ক্লান্তিহীনভাবে সশব্দে ছেলের পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি বাক্য পড়ে যান। আর তা রেকর্ড হয় মুঠোফোনে।

দৃষ্টিশক্তিহারা ছেলের পড়া রেকর্ড হয় মায়ের স্বরে-সুরে। মুঠোফোনের ওই রেকর্ড মন দিয়ে শোনেন ছেলে। এটাই তাঁর পড়ার একমাত্র উপায়। মা-ছেলের অনবদ্য এই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান আবদুল্লাহ আল শাইম। আর সাধারণ এক নারী চায়না খাতুন হয়ে ওঠেন অদম্য মা।
মায়ের তৈরি করা পড়ার রেকর্ড শুনেই এবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপলস ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন আবদুল্লাহ। তিনি পরীক্ষা দিয়েছেন শ্রুতিলেখকের সহায়তায়।
আবদুল্লাহ জন্মান্ধ ছিলেন না। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম তিনি বুঝতে পারেন তাঁর দুই চোখেই সমস্যা হচ্ছে। কোনো কিছুই ভালো করে দেখতে পেতেন না। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ভাত-বস্ত্রের সংস্থানই ঠিকমতো হয় না তাঁদের। কিন্তু চোখের সমস্যা দিনে দিনে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবদুল্লাহ চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন ঠিকই, তত দিনে তাঁর দুচোখ প্রায় দৃষ্টিশূন্য হয়ে গেছে।
আবদুল্লাহর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গোবরগাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা মনিরুল ইসলাম কৃষিকাজ করে সংসারের খরচ মেটান। মা চায়না খাতুন গৃহিণী। একমাত্র বোন স্থানীয় ডিজিএম হাইস্কুলে পড়ে। সংসার খরচ চালানোর জন্য তাঁদের সহায়-সম্বল বলতে আছে আড়াই বিঘা জমি।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় আবদুল্লাহকে চক্ষুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই যাওয়া পর্যন্তই! অর্থকষ্টের কারণে তাঁর যথাযথ চিকিৎসা আর হয়ে ওঠেনি। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, আবদুল্লাহর দুচোখ ‘রেটিনাইটস পিগসোনটোসা’ রোগে আক্রান্ত।
ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) আবদুল্লাহ হেল আজম বলেন, এটি জেনেটিক (বংশগত) রোগ। এর কারণে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। রোগী রাতের বেলা একদমই দেখতে পায় না। এই রোগের ভালো চিকিৎসাও নেই। এই রোগের কারণে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির চলাফেরাসহ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য লো ভিশন এইড (অতি ক্ষীণ দৃষ্টির অধিকারী ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক বিভিন্ন উপকরণ) নিতে পারে।
প্রায় অন্ধ অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয় আবদুল্লাহকে। পরীক্ষার হলে টেবিলের দুপাশে দুটি টেবিলল্যাম্প জ্বেলে কোনো রকমে পরীক্ষা শেষ করেন তিনি। প্রশ্নই ঠিকমতো পড়তে পারতেন না তিনি। মন ভেঙে দেওয়া সেই পরীক্ষার কথা আজও ভুলতে পারেননি আবদুল্লাহ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪ পেয়ে পাস করেন তিনি।
ফল ঘোষণার পর আবদুল্লাহর পরিবার শেষ চেষ্টা হিসেবে কুষ্টিয়া থেকে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসে। আরও দু-তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন তাঁরা। শেষমেশ আবদুল্লাহকে নেওয়া হয় ফার্মগেট এলাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও ইস্পাহানী ইনস্টিটিউট অব থালমোলোজিতে। তত দিনে তিনি পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছেন।
ঢাকা থেকে ফেরার পর আবদুল্লাহর পরিবার কুষ্টিয়া শহরের একটি প্রতিবন্ধী স্কুলে যোগাযোগ করে। সেখানে ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়া হয়। তবে সেখান থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে হলে তাঁকে শহরে থাকতে হতো। সেই খরচ তাঁর পরিবারের পক্ষে মেটানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি আবদুল্লাহর আগ্রহ দেখে ওই স্কুলের কর্মকর্তা এনামুল হক (বর্তমানে প্রয়াত) তাঁকে ক্যাসেটে পড়া রেকর্ড করে তা শোনার পরামর্শ দেন। এই পদ্ধতি তাঁর ভালো লাগলে শ্রুতিলেখক দিয়ে তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে তিনি জানান। পরে বাড়িতে ফিরে তাঁর মায়ের পরামর্শে মুঠোফোনেই পড়া রেকর্ড করে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আবদুল্লাহ।
লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল আবদুল্লাহর মা চায়না খাতুনেরও। তবে হাজার প্রতিকূলতা পেরিয়ে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে গেছেন তিনি। নিজের অপূর্ণতা পূরণের জন্য বেছে নিয়েছিলেন দুই ছেলেমেয়েকে। মায়ের আশা পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন আবদুল্লাহও। ক্লাসে কখনো দ্বিতীয় হননি তিনি।
পিপলস ডিগ্রি কলেজের উপাধাক্ষ্য আবু সাঈদ মো. আজমল হোসেন জানান, এবার তাঁর কলেজ থেকে ২৭৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে শুধু আবদুল্লাহই জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও নিয়মিত ক্লাস করার পাশাপাশি ক্লাসে মনোযোগী থাকত সে। এ ছাড়া কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম হয় সে। এ কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার বেতন মাফ করে দেয়। তার পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার (ফরম ফিলাপ) টাকাও দেয় কলেজ।’
মা চায়না খাতুন বলেন, ‘দৃষ্টি হারানোর পরও আবদুল্লাহ কখনো মনোবল হারায়নি। সারা দিন সংসারের কাজ শেষ করে রাতের বেলায় মুঠোফোনে পড়া রেকর্ড করে দিতাম। পরে সেটা শুনে আবদুল্লাহ আয়ত্ত করত। ওর স্মৃতিশক্তি খুব ভালো। দু-একবার শুনলেই পড়া আয়ত্ত করে নিতে পারত। পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে সে।’
ছেলের সাফল্য চায়না খাতুনের গর্বে বুক ভরে যায় সত্যি। তবে এর আড়ালে বিষাদও আছে। ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে পড়ার খরচ আর সংসার খরচ চলবে কীভাবে? বাড়িতে দুটি গরু ছিল। একটা গরু ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ওই টাকা দিয়ে ছেলেকে কোচিং করাচ্ছেন। কিছু টাকা রেখে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম কেনার জন্য। প্রতিদিন মায়ের সঙ্গেই কোচিংয়ে যান আবদুল্লাহ।
কোথায় উচ্চশিক্ষা নিতে চান জানতে চাইলে আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়া। আর মাস্টার্স শেষ করে শিক্ষকতা করতে চাই।’

Friday, August 15, 2014

 ধরা যাক, তুমি প্রোগ্রামিং ভালোই পারো। তোমার হয়ত কম্পিউটার সায়েন্সের উপর কোনো ডিগ্রী নেই, কিন্তু তুমি প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী।  কিংবা ডিগ্রী নিচ্ছ কিন্তু বুঝতে পারছ না যে কিভাবে তুমি তোমার সিভিতে নিজেকে এমনভাবে তুলে ধরতে পারবে যাতে কোম্পানীগুলো বুঝতে পারে যে তুমি আসলেই কাজ জানো। প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ারে কাজ করতে পারাটাই আসল, ডিগ্রী না থাকলেও চলে।
কিভাবে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করবে?
১) প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন : তুমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী হও, তাহলে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাগুলোতে নিয়মিত অংশগ্রহন করতে পারো। এসিএম আইসিপিসি’র ঢাকা রিজিওনাল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দুই বা তিনটি দলের মধ্যে থাকলে তোমার গুগল বা ফেসবুকে ইন্টারভিউ দেওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়। তুমি কম্পিউটার সায়েন্সে পড় নাকি ফিজিক্সে পড়, এটি নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা থাকবে না। আরেকটি সুবিধা হবে, দেশের শীর্ষ প্রোগ্রামারদের সাথে তোমার জানাশোনা হবে।
২) প্রোগ্রামিং ব্লগ : তুমি প্রোগ্রামিং বিষয়ক ব্লগ লেখতে পারো। প্রতিদিন প্রোগ্রামিং করতে গিয়ে তুমি যা শেখো, সেগুলো লিখে রাখতে পারো নিজের ভাষায়। কোনো সমস্যায় পড়লে কিভাবে সেই সমস্যার সমাধান করলে, সেটিও লিখে রাখতে পারো। এতে অন্যরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি তোমার একটি পরিচিতি তৈরি হবে এবং সিভিতে তুমি তোমার ব্লগের লিঙ্ক দিয়ে দিবে। এতে যিনি তোমার ইন্টারভিউ নিবেন, তিনি সেটি দেখে তোমার দক্ষতা সম্পর্কে খানিকটা ধারণা পাবেন। কিন্তু খবরদার, নিজের ব্লগে অন্যের লেখা চুরি করবে না।
৩) ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি : তুমি নিজে বিভিন্ন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে সেগুলো ইন্টারনেটে হোস্ট করে রাখতে পারো। আর নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে সবকিছু সাজিয়ে রাখো, এটাকে পোর্টফোলিও (Portfolio) বলে। তুমি কোন লেভেলের ওয়েব ডেভেলাপার, সেটা তোমার পোর্টফোলিওই বলে দেবে।
৪) মোবাইল অ্যাপ : তুমি যদি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে পারো, তাহলে নিজে নিজে কিছু আইডিয়া বের করে, বা অন্যের আইডিয়া দেখে কয়েকটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে ফেলো এবং হোস্ট করে রাখো। আর ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় একটি অ্যান্ড্রয়েড (বা আইফোন, তুমি যেই প্ল্যাটফর্মে কাজ করো) মোবাইল সাথে রাখবে যেখানে তোমার তৈরি অ্যাপগুলো ইনস্টল করা থাকবে।
৫) বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহন : বিভিন্ন ফোরামে কিংবা গ্রুপে মাঝে-মধ্যে সময় দাও। সেখানে অন্যরা যেসব সমস্যা দিয়ে সাহায্য চেয়েছে, সেগুলো সমাধান করে দাও (ক্লাশের এসাইনমেন্ট করে দিবে না কিন্তু!)। এতে তোমার দক্ষতা যেমন বাড়তে, তেমনি অন্য প্রোগ্রামারদের নজরেও তুমি পড়ে যাবে!
তোমার জন্য শুভকামনা রইল।
বি.দ্র. আরো কোনো টিপস্ জানা থাকলে দয়া করে মন্তব্যে লিখুন। ধন্যবাদ।

Wednesday, August 13, 2014

ধোঁয়া, দূষণসহ বিভিন্ন কারণে চুল পড়া বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে বর্ষাকালে চুল পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি। কারণ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় চুল সহজে শুকাতে চায় না। ফলে মাথায় ফাঙ্গাস জন্মায়। তৈরি হয় খুশকিও। ফলে চুল পড়া বেড়ে যায় কয়েকগুন।
কিন্তু হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে আলাদাভাবে চুলের যত্ন নেয়ার সময় অনেকেরই হয় না। সেজন্য এখানে চুলের যত্নের সহজ কিছু টিপস দেয়া হলো। এতে আলাদা কোনো সময়ের প্রয়োজন হবে না। স্বাভাবিক কাজকর্মের মধ্যেই এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

61717_Hair-care-tips

















১. ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। কারণ ভেজা অবস্থায় সামান্য টানেই চুল উঠে যেতে পারে। তাই চুল আঁচড়াতে মাথা শুকানোর অপেক্ষা করুন।

২. গোসলের পর গামছা বা তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে চুল মুছুন। কারণ এক্ষেত্রেও ভেজা চুলে টান লেগে চুল উঠে যেতে পারে। চুল না মুছে শুকনো গামছা বা তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখতে পারেন। এতে গামছাটি চুলের পানি শুষে নেবে।

৩. চিকন কাটার চিরুনির পরিবর্তে মোটা কাটার চিরুনি ব্যবহার করুন। বিশেষ করে চুলের জট ছাড়াতে কখনোই চিকন কাটার চিরুনি বা হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।

৪. আপনার চিরুনি বা হেয়ার ব্রাশ সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করুন। কেননা চিরুনির ময়লা আপনার মাথার চামড়ায় ইনফেশন ঘটাতে পারে। ফলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।

৫. বেশি কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। কারণ তা চুলের গোড়া নরম করে দিতে পারে। শ্যাম্পুর বোতলের ওপরই আপনি ক্যামিক্যালের নামগুলো দেখতে পাবেন। সেক্ষেত্রে ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

৬. মেয়েরা চুল খুব টাইট করে বাঁধবেন না। কারণ এতে গোড়ায় টান পড়ে। তাছাড়া হেয়ার স্টাইলিং না করাই ভালো। কারণ এতে অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যা আপনার চুল নষ্ট করে দিতে পারে।

৭. ভালো চুলের জন্য দরকার পুষ্টি। তাই চুল সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি।
পৃথিবীতে অন্তত তিনশ কোটি মানুষের প্রধান খাবার ভাত। চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার পর পাঁচটি কাজ করতে অনুৎসাহিত করেন। এগুলো হলো:
rice
১. ফল: ভাত খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে অথবা ১/২ ঘণ্টা পর ফল খাবেন। কেননা, ভাত খাওয়ার পরপর কোনো ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
২. সিগারেট: সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলে যতখানি ক্ষতি হয়, ভাত খাওয়ার পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে। তাই ভাত খাওয়ার পর ধূমপান করা থেকে বিরত থাকেন।
৩. চা: চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। তাই ভাত খাওয়ার পর চা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
৪. কোমর ঢিলা করা: ভাত খাওয়ার পরে বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেস্টাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেঁকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়। কেউ বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই কোমরের বাধন ঢিলা করে নিতে পারেন।
৫. গোসল: ভাত খাওয়ার পরে গোসল করবেন না। ভাত খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের সময়ের চেয়ে বেশী লাগবে।
৬. ঘুমাতে যাওয়া: ভাত খাওয়ার পরে ঘুমোতে যাবেন না। এটা অবশ্য আমরা সবাই কমবেশী জানি যে, ভাত খেয়েই ঘুমোতে যাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে খাদ্য ভালোভাবে হজম হয় না। ফলে গ্যাস্ট্রিক এবং ইন্টেস্টাইনে ইনফেকশন হয়!
৭. হাঁটা চলা করা: ভাত খাওয়ার পরে হাঁটা চলা করবেন না! অনেকেই বলে থাকেন যে, খাবার পর ১০০ কদম হাটা মানে আয়ু ১০০ দিন বাড়িয়ে ফেলা! কিন্তু আসলে বিষয়টা পুরোপুরি সত্য নয়।
খাবার পর হাটা উচিত, তবে অবশ্যই সেটা খাবার শেষ করেই তাৎক্ষণিকভাবে নয়। কারণ এতে করে আমাদের শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে অক্ষম হয়ে পড়ে। – অনলাইন

Thursday, August 7, 2014

Step 1 : প্রথমে আপনার বিষয়ভিতিক Keyword নির্বাচন করুন
Step 2 : আপনার পছন্দের Keyword টুলস আপনার সেরা Keyword Research করুন
Step 3 : আপনি আপনার কাংখিত Keyword গুল পাবেন ইনশা-আল্লাহ
Step 4 : Research করা Keyword গুল থেকে আপনার   কাংখিত Keyword গুল নির্বাচন করুন

আমি মনেকরছি আপনি আপনার কনটেন্ট এর জন্য সেরা Keyword নির্বাচন করতে পারবেন এই বেসিক নলেজটি আপনার মধ্যে না থাকলে আপনি SEO Friendly Content লিখতে পারবেন না
এই টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে আপনি সুন্দর মান স্মমত SEO Friendly Content কি ভাবে লিখতে পাড়েন সেই স্মমন্ধে পুরনাজ্ঞ ধারনা দিতে পারব আশা করছি। আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অনুসরণ ছাড়া সার্চ ইঞ্জিনে আপনার Content ভাল অবস্তানে আনতে আপনার জন্য খুব কঠিন হবে আপনি যদি কনটেন্ট সাজানোর সময় কিছু নিয়ম অনুসরণ করেন, তাহলে আপনার কনটেন্টটি হতে পারে SEO Friendly Content সবার মনে এখন একটি প্রশ্ন কি এই নিয়ম হে এটি হচ্ছে On-Page Optimization আপনার কনটেন্টটি সুন্দর করে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে উপস্তাপন করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে On-Page Optimization , এতে কোরে আপনিও পেতে পারেন আপনার টার্গেট ভিজিটর

এই টিউটোরিয়ালটি আপনার জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ 
·         এই টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার ওয়েব সাইট বা কনটেন্ট Ranking এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
·         কিভাবে কনটেন্ট সাজালে আপনি পেতে পারেন বিপুল টার্গেট ভিজিটর SEO Friendly Content কি ভাবে লিখবেন তার উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান
·         এই টিউটোরিয়াল টি ফলো করলে আপনিও হতে পারেন জনপ্রিয় ব্লগার
কি কি বিষয় থাকছে এই টিউটোরিয়াল
1.         Select Best Keyword
2.         Write Article
3.         Title Optimization
4.         Put Keywords In Article Body
5.         Use Bold and Italic
6.         Use Keyword As h1,h2,h3 Tag
7.         Content Length
8.         Use Image and Optimize Image
9.         Internal linking and External linking
10.     Meta keyword and Description
11.     Input keyword In url